গিট টিউটোরিয়াল-১: গিট কি? কেন ব্যবহার করব?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট লাইনে কন্টিনিউ করতে চাইলে গিট, গিটহ্যাব, গিট ল্যাব প্রভৃতি বিষয়গুলোর সাথে পরিচিত থাকতে হবে। শুধু পরিচিতি নয়, এগুলো নিয়ে কাজও করতে হবে। তো আসুন এগুলোর সাথে ধারাবাহিকভাবে পরিচিত হয়ে নিই।
গিট পরিচিতি:
গিট হচ্ছে একটি ভার্সন কন্টোল সিস্টেম। এর মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপাররা তাদের পূর্ববর্তী কাজের রেকর্ড রাখতে পারেন। আরো সহজ করে বললে, একটি ওয়েব এপ্লিকেশন/ প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে অসংখ্য কোড করতে হয়। কোডের অনেক পরিবর্তন করতে হয়। একের পর এক কোডের ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলো আপনি আপনার প্রয়োজনমতো গিটের মাধ্যমে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন। গিট লোকাল কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হয়। এরপরে সোর্স কোড হোস্ট করার জন্য কোনো অনলাইন একাউন্ট যেমন গিটল্যাব, গিট হ্যাবে লিংক করে দিতে হয়।
গিট ব্যবহারের সুবিধা:
মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন আমরা গিট ব্যবহার করব? এমনিতেই তো কোড এর কাজ করে কোনো অনলাইন হোস্ট এ আপ করে দিতে পারি। বলছি গিট ব্যবহারের সুবিধাবলি।
১. কাজের/কোডের ধারাবাহিক রেকর্ড:
কোডার তার কোডের পরযায়ক্রমিক রেকর্ড রাখতে পারবেন। কোন কোডের পরে কোন কোড করেছেন তা গিট ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারবেন। যদি সে ৫ দিন আগের কোনো কোড দেখতে চান ওই দিন কোন করেছিলো তাও সে দেখতে পাবে এই গিট এর মাধ্যমে।
২. একই প্রজেক্টে একাধিক ডেভেলপার কাজ করতে হলে:
কোনা প্রজেক্টে একাধিক ডেভেলপার যোথভাবে কাজ করতে চাইলে, গিট এম মাধ্যমে করতে পারেন। প্রত্যেকেই তার কাজের অংশ ভাগ করে নিয়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে পুশ করে দিতে পারেন।
৩. অন্য ডেভেলপারের কোড নিজের আয়ত্তে নেয়া:
যৌথ প্রজেক্টের কোড একত্রিত করার জন্য গিট ব্যাবহার করা হয়। গিটের মাধ্যমে দূর থেকে অন্য ডেভেলপারের সাথে একত্রে কাজ করা যায়। একজন অন্যজনের কোড ব্যাবহার করতে পারবেন।
গুগল, ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন এর মত বড় বড় অসংখ্য কোম্পানি গিটের মাধ্যমে তাদের কাজ অর্গানাইজ করে থাকে। একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপারের গিটের মাধ্যমে কাজ করতে অভ্যস্ত হতেই হবে।
এছাড়া আরো বিস্তারিত গিট নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শিখতে পারবেন। আজ এ পর্যন্তই। আগামী দিনে গিট ইনস্টলের বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ। আর ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।েআমাদের ব্লগে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন নিয়মিত নিউজলেটার পেতে।